ভীক্ষা করে জীবন ধারন করছে ৮০ বছরের বুড়ু ।

ছবিতে যাকে দেখছেন তার নাম শমসের আলী । বয়স ৮০/৮৫ বছর । দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক সে । জন্মের পর থেকেই দিন মুজুরী করে জীবন যাপন করছেন সে । পুত্র সন্তানেরা কামাই শোধ ও বিবাহ করেছেন । কিন্তু বিধিবাম শমসের আলীর ছেলেরা তাকে বরন পোষণ করে না ।


 জিজ্ঞেস করলে উত্তরে সে বলেন, ছেলেরা তাদের বউয়ের কথা শুনে আমার কথা শুনেনা ও আমাকে বরণ পোষন করেনা । অথচ ছেলেরা ভাল চলে ভাল খায় । নাতিও আছে তার বেশ কয়েক জন । জীবন যাপনের জন্য সে বহুদিন যাবত দিন মুজুরী করে আসছেন । এবং দিন মুজুরী করে ছেলে-মেয়েদের বরণ পোষন করেছিলেন শমসের আলী ।


কিন্তু সে যখন বাধর্ক্য জনিত করনে দূর্বল হয়ে পরেন তখন ছেলে মেয়েরা বিয়ে করে নিজ নিজ সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায় । তাই পিতার কোনো খুজ খবর নেয় না । শেষ বয়সে দশ জনের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে জীবন যাপন করে আসছে শমসের আলী । হঠাৎ দুলাল-কান্দি বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে আমার সাথে দেখা শমসের আলীর ।  তার হাপানির অবস্থা দেখে ছেলে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে এ সকল কষ্ট দায়ক কথা জানতে পারলাম তার নিকট থেকে । বিস্তারিত জানতে গিয়ে তার করুন অবস্থা কথা শুনে তাকে সরকারি অনুদানের কথা জিজ্ঞেস করলে সে বলেন আমি সরকার থেকে এ পর্যন্ত কোনো অনুদান পাইনি ।


 স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের কথা জিজ্ঞেস করলে শমসের আলী জানান আমার চর উজিলাব ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যানেরা আমি সাহায্যের জন্য গেলে তারা বলেন আমাদের ইউনিয়নে গরীবদের সংখ্যা বেশি তাই আপনার নাম আসেনি । পরে সাহায্য আসলে আপনাকে দেওায়া হবে । বেশ কয়েক বার শমসের আলী সাহায্যের জন্য গিয়ে ফেরত আসায় সে বলে আমি কি মাটির নীচে কবরে গেলে আপনারা সাহায্য দিবেন ?


অথচ বাংলাদেশ সরকার গরীবদের জন্য বহু ফান্ড রেখেছেন যেমন বয়স্কদের জন্য ২ ঈদে গম/চাউলের ব্যাবস্থা, ভি,জি,ডি, কার্ড, ভি,জি,এফ কার্ড, বয়স্ক ভাতা সহ বিভিন্ন ধরেণের সু-ব্যাবস্থা । এমন কি ভিডিওতে আপনারা দেখতে পারবেন এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানরাও তাকে কোনো অনুদান দেয়নি । বিষয় টি অতি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য মাননীয় সরকারের প্রতি ভরসা টিভির অনুরোধ ।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post